বরিশালে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
বরিশাল নগরের কাউনিয়া এলাকায় যুবদল নেতা সুরুজ গাজীকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার রাতে গৌরনদী উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছেন। বরিশাল নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক ছগির হোসেন আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ওই দুই আসামি হলেন কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা মজিবর হাওলাদারের স্ত্রী কণা বেগম (৩৫) ও তাঁর ছেলে (১৬)।
পরিদর্শক ছগির হোসেন বলেন, নগরের কাউনিয়া হাউজিংয়ে রোববার যুবদল নেতা সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পরদিন সোমবার সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি করেন সুরুজের ভাই শহিদ গাজী। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘটনায় জড়িতরা আত্মগোপনে যান। গতকাল রাতে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মূল আসামি ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহীন হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী শাবানা বেগম এখনো পলাতক। সব আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, জমি বিক্রি নিয়ে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাত ৮টার দিকে কাউনিয়া শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে সুরুজ গাজীর সঙ্গে শাহীন হাওলাদারের বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে শাহীনের নেতৃত্বে কয়েকজন সুরুজকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে একই ওয়ার্ড যুবদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন গাজীকেও কোপানো হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের দুজনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এরপর রোববার রাতেই স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন শাহীনের বাড়িতে আগুন দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর সোমবার রাত ১০টার দিকে কাউনিয়া হাউজিং এলাকার শাহীন হাওলাদারের বাড়িতে আবারও আগুন দেন স্থানীয় লোকজন। এবারও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নেভান।