বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় রাতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে এসএসসি পাস করা এক কিশোরীর সঙ্গে নিজের ছেলের বিয়ে দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছার রহমান।

বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় ওই বাড়িতে গেলে মুহূর্তের মধ্যে পুরো বিয়েবাড়ি মেহমানশূন্য হয়ে যায়।

আরও পড়ুন

বাল্যবিবাহে বাংলাদেশ এশিয়ায় শীর্ষে

শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর খট্টা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছার রহমান তাঁর ছেলে নাইম হোসেনের (১৮) একই গ্রামের সদ্য এসএসসি পাস করা এক শিক্ষার্থীর (১৬) বিয়ে দেন। ইউএনওর আসার খবরে বাড়ির কয়েকজন নারী সদস্য বিয়েবাড়ির খাবার ও হাঁড়িপাতিল বাথরুমে লুকিয়ে রাখেন। ততক্ষণে বর-কনে ও তাঁদের মা–বাবা সবাই বাড়ি ছেলে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন

বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ‘ফুটবল’

ইউএনও অমিত রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাঁরা বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যান। পালিয়ে গেলেও বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধ থেকে তাঁদের দায়মুক্তির সুযোগ নেই। আমি এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি।’

আরও পড়ুন

সরকারের কথা ও কাজে মিল কতটা?

আরও পড়ুন

শরীয়তপুরে ২০৯ ছাত্রী এসএসসি দেয়নি, অধিকাংশ বাল্যবিবাহের শিকার