পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তরা ব্যাগের মধ্যে শিশুটিকে রেখে সড়কের পাশে ফেলে রেখেছিল। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সন্তানকে ফিরে পেয়ে মা–বাবা খুশি। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

শিশু সাজিদের মা সুমি খাতুন বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, আমার বুকের মধ্যে কী যেন নেই। পরাণডা এখনই বের হয়ে যাবে। সারা দিন শুধু আমার বুক খাঁ খাঁ করেছে। আমার বাজানকে পেয়ে মনে হচ্ছে, আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি। সব কষ্ট ভুলে গেছি।’

শিশুটির বাবা আবু সাঈদ ফারাজী বলেন, ‘আমার সন্তানকে ফিরে পেয়েছি, এটাই শান্তি। তবে চুরির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি রইল।’

শিশুটির পরিবার জানায়, গতকাল ভোরের আগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে আবু সাঈদ ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে খড়ের গাদা ঢেকে দেন। এরপর আবার ঘরে এসে ঘুমিয়ে যান তিনি। পরে সকালে ঘুম ভেঙে দেখেন, তাঁদের শিশুসন্তান নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির সন্ধান মেলেনি।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, শিশু চুরির ঘটনায় ওই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে খুলনা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটি সুস্থ আছে। আজ সকালে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।