গাজীপুরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নারী পোশাককর্মী নিহত

ছুরিকাঘাতপ্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক নারী পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাইমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শ্রমিকের নাম রুবিয়া খাতুন (২৩)। তিনি শেনন সোয়েটার লিমিটেডের কারখানায় জুনিয়র অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কোনাবাড়ী পারিজাত এলাকার ভাড়াবাসায় থাকতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাতে রুবিয়া খাতুন গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে অটোরিকশায় কোনাবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হন। রাত সাড়ে আটটার সময় বাইমাইল সেতুর ওপর পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে চেপে তিন তরুণ অটোরিকশাটির গতি রোধ করেন। এ সময় যানটিতে একাই ছিলেন তিনি। ওই তরুণেরা মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন রুবিয়া। ছিনতাইকারীরা তাঁর পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান।

অটোরিকশার চালক রেজাউল করিম বলেন, গতকাল ওই ঘটনার আগে ভোগড়া বাইপাস থেকে রুবিয়াসহ মোট দুজন যাত্রী ওঠেন। তাঁদের একজন নাওজোড় এলাকায় নেমে যান। পরে রুবিয়াকে নিয়ে কোনাবাড়ীর উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়। বাইমাইল সেতুর ওপর আসামাত্রই পেছন থেকে মোটরসাইকেল চেপে তিন তরুণ সামনে এসে দাঁড়ান। তাঁরা (ছিনতাইকারীরা) বলেন, ‘যা কিছু আছে দিয়ে দে।’ মেয়েটি জবাব দেন, রিকশার ভাড়া ছাড়া তাঁর কাছে আর কিছুই নেই। তখন ছিনতাইকারীরা তাঁর মুঠোফোন দিতে বলেন। কিন্তু মেয়েটি মুঠোফোন দিতে অস্বীকার করেন। মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এ সময় ছিনতাইকারীরা ধারালো ছুরি দিয়ে রুবিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন

পরে অটোরিকশার চালক রুবিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রুবিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান সরকার আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, রুবিয়ার লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে। ঘটনাটি ছিনতাইকারীরা ঘটিয়েছেন নাকি পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন