ঘুমধুমে ধানখেতে পাওয়া গেল আরেকটি ‘অবিস্ফোরিত’ মর্টার শেল

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ধানখেতে পাওয়া ‘অবিস্ফোরিত’ মর্টার শেল। শুক্রবার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত সড়কের পশ্চিমকুল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকার একটি ধানখেতে আরেকটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মর্টার শেলটি অবিস্ফোরিত। আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে ধানখেতে মর্টার শেলটি দেখতে পান স্থানীয় এক নারী।

স্থানীয় কিশোর মো. ইয়াছিন আরাফাত (১৫) মর্টার শেলটি হাতে নিয়ে কয়েকজন বিজিবি সদস্যকে দেখায়। তাঁরা দ্রুত মর্টার শেলটি নিরাপদ জায়গায় রাখতে ওই কিশোরকে নির্দেশ দেন। সে তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত সড়কে মর্টার শেলটি রাখে। পরে বিজিবি সদস্যরা সড়কের দুই পাশে লাল পতাকা পুঁতে দেন।

আরও পড়ুন

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় আরেকটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পাওয়া গিয়েছিল। আজ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।

কিশোর ইয়াছিন আরাফাত প্রথম আলোকে বলে, সে জুমার নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরছিল। তখন এক নারী তাকে মর্টার শেলটি দেখান। সে মর্টার শেলটি হাতে নিয়ে বিজিবি সদস্যদের দেখাতে যায়। তাঁরা মর্টার শেলটি দ্রুত নিরাপদ স্থানে রেখে দিতে বলেন। কিশোর বলে, ‘মর্টার শেলটি হাতে নিয়ে অন্তত ১০ মিনিট ঘুরেছি। সবাই বলছে, এটা খুব ভয়ংকর। এখন নিজের বুক ধড়ফড় করছে।’

আরও পড়ুন
তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত সড়কের পশ্চিমকুল এলাকায় মর্টার শেলটি সড়কের এক পাশে রাখা হয়েছে। মর্টার শেলটির দুই দিকে সড়কে লাল পতাকা পুঁতে দিয়েছে বিজিবি
ছবি: প্রথম আলো

সরেজমিনে দেখা গেছে, তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত সড়কের পশ্চিমকুল এলাকায় মর্টার শেলটি সড়কের এক পাশে রাখা হয়েছে। মর্টার শেলটির দুই দিকে সড়কে লাল পতাকা পুঁতে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন বিজিবি সদস্য সেখানে অবস্থান নিয়ে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। আশপাশের ১৫-২০টি পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মর্টার শেলটি কখন পড়েছে তাঁরা জানেন না। এটি বিস্ফোরিত কি না, সেটাও জানেন না। তবে মর্টার শেল পাওয়ার খবরে সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, মর্টার শেলটি অবিস্ফোরিত বলে ধারণা করছে সবাই। এটি পাওয়ার পর পশ্চিমকুল এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন

গত সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে পাশের গ্রাম জলপাইতলীতে মিয়ানমারের ওপার থেকে নিক্ষেপ করা মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়। এ ঘটনার পর দলে দলে মানুষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তবে গত দুই দিন মিয়ানমারের তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের আওয়াজ না থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর মধ্যে আবার ‘অবিস্ফোরিত’ মর্টার শেল পাওয়া গেল।

আরও পড়ুন