খুলনায় মদ্যপানে আরও দুজনের মৃত্যু

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

খুলনায় মদ্যপানে অসুস্থ হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে একজন এবং গতকাল শনিবার মধ্যরাতে আরেকজন মারা যান। ঘটনাটি ঘটে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া গ্রামে।

এর আগে খুলনা নগরে মদ্যপানের পৃথক ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে খুলনায় শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে মদ্যপানে সাতজনের মৃত্যু হলো।

আরও পড়ুন

ডুমুরিয়ায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার থুকড়া গ্রামের রবিউল গাজী (৩৭) এবং একই এলাকার রাসেল সরদার (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় একই এলাকার আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাতে রবিউল ও রাসেল থুকড়া বাজারে অ্যালকোহল–জাতীয় কিছু পান করেন। পরে রাতেই রবিউলের অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অসুস্থতার কারণ গোপন করেন স্বজনেরা। হাসপাতালেই রবিউল মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

অন্যদিকে রাসেল সরদারও একই ধরনের পানীয় পান করার পর শনিবার বিকেলে অসুস্থ হয়ে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নথিতেও মৃত্যুর কারণ হিসেবে মদ্যপানের উল্লেখ আছে।

ডুমুরিয়া থানার ওসি বলেন, কিছুদিন আগে রবিউল গাজী ও তাঁদের কিছু সহপাঠীকে অ্যালকোহলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নিয়মিত মামলাও হয়েছিল।

এর আগে খুলনা নগরে গত শুক্রবার রাতে একজন, শনিবার সকালে একজন, বিকেলে দুজন এবং সন্ধ্যার পর আরও একজন মারা যান। এই পাঁচজন হলেন নগরের রায়ের মহল মল্লিকবাড়ির বাসিন্দা সাজ্জাদ মল্লিক, বয়রা শেরের বাজার মোড়ের বাসিন্দা বাবু, বয়রা মধ্যপাড়ার সাবু, বয়রা জংশন রোডের বাসিন্দা গৌতম কুমার বিশ্বাস ও পাবলিক কলেজের পেছনের বাসিন্দা তোতা। সাবু ও বাবু শ্যালক-ভগ্নিপতি। ওই ঘটনায় মদ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে হোমিও চিকিৎসক শেখ মোসলেম আলীকে আটক করেছে পুলিশ।