২৭ টাকা কেজিতে ৮৫ হাজার কেজি আলু বিক্রি করল ভোক্তা অধিকার

হিমাগার তদারকি শেষে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের চরকেওয়ার এলাকার নুরানী স্টোরেজে
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় হিমাগারে বসে থেকে ২৭ টাকা দরে এবার ৮৫ হাজার কেজি আলু বিক্রি করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার চরকেওয়ার ও মুক্তারপুর এলাকার দুটি হিমাগার তদারকি শেষে এসব আলু ঢাকার দুটি সুপারশপের কাছে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সরকার নির্ধারিত মূল্যে ৩৪ হাজার কেজি আলু বিক্রি করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে খুচরা ও হিমাগার পর্যায়ে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হিমাগার তদারকি করা হচ্ছে। হিমাগারে বসেই সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিভিন্ন বাজার, আড়ত ও সুপারশপে আলু বিক্রি করা হচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে আজ দুপুরে চরকেওয়ার ইউনিয়নের নুরানী হিমাগার থেকে ৭০ হাজার কেজি (১৪০০ বস্তা) আলু রাজধানীর চালডাল সুপারশপে বিক্রি করা হয়। একইভাবে মুক্তারপুর এলাকার রিভারভিউ কোল্ডস্টোরেজ থেকে ১৫ হাজার কেজি (৩০০ বস্তা) আলু সুপারশপ স্বপ্নতে বিক্রি করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন মুন্সিগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমূল হুদা, মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আবদুস সালাম, আনসার ব্যাটালিয়ন, পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আলুর বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ ধরনের কার্যক্রম জনস্বার্থে অব্যাহত রাখবে বলে জানানো হয়।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আলুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং হিমাগার পর্যায়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা বেঁধে দেয়। তবে ব্যবসায়ীরা এই দর না মেনে হিমাগার পর্যায়ে ৩৯-৪০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জের হিমাগারে পরিদর্শনে আসেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

হিমাগার পরিদর্শন শেষে পরদিন থেকে রসিদের মাধ্যমে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে ৩৫-৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির নির্দেশ দেন সফিকুজ্জামান। বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হিমাগার ও বাজার তদারক শুরু করে অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। শহর ও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে ভোক্তাদের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে।