সমাজকল্যাণমন্ত্রীর পর বিদ্যুৎ বিল আংশিক পরিশোধ করলেন তাঁর ভাই, বাকি ৩ লাখ

লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের সৎভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ওরফে ভুট্টোর নামে বকেয়া থাকা সাত লাখ টাকা বিলের সোয়া চার লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। অবশিষ্ট তিন লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে তিন কিস্তিতে পরিশোধ করবেন।

আরও পড়ুন

সম্প্রতি নেসকোর অনুকূলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বকেয়ার বিলের চার লাখ টাকা পরিশোধ করেন শামসুজ্জামান। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবর রহমান। তিনি বলেন, দুটি মিটারের বিপরীতে ১০ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন শামসুজ্জামান। অবশিষ্ট বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের তিন লাখ টাকা পরবর্তী তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) পরিশোধ করার শর্ত ধার্য রয়েছে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তাঁর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ, সৎভাই শামসুজ্জামান এবং প্রয়াত বাবা ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন আহমেদের মোট বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ছিল ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮০ টাকা। আগের কয়েক মাসের বকেয়াসহ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এসব বিল বকেয়া হয়। এ নিয়ে প্রথম আলোয় ‘মন্ত্রীর বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী নুরুজ্জামান এবং তাঁর ছেলে ও প্রয়াত বাবার নামে চালু থাকা বৈদ্যুতিক সংযোগের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৬ টাকার পরিশোধ করা হয়।

আরও পড়ুন

সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সৎভাই শামসুজ্জামান আহমেদের নামে। তাঁর নামে থাকা মিটারটির বিপরীতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আগের কয়েক মাসসহ মোট বকেয়া ছিল ৫৯ হাজার ৭০৬ টাকা। চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ১৩৩ টাকা। তাঁর নামে নেসকোর আরেকটি মিটার আছে। সেচ সংযোগের জন্য নেওয়া ওই মিটারের বিপরীতে বকেয়া বিলের পরিমাণ ১ লাখ ৫ হাজার ১১ টাকা। বিল না পেয়ে মিটারটির সংযোগ অস্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা আছে। কিন্তু বকেয়া আদায় করা হয়নি। শামসুজ্জামানের কাছ থেকে দুটি মিটারের বিপরীতে বকেয়া দাঁড়ায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ১৪৪ টাকা।

আরও পড়ুন

বিদ্যুতের বিল পুরোপুরি পরিশোধ না করা নিয়ে শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ব্যাংক এশিয়া মাধ্যমে ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে নেসকোর পাওনা বিদ্যুৎ বিলের ৭ লাখ ২৫ হাজার ১৪৪ টাকার মধ্যে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৭২ টাকা পরিশোধ করেছি। অবশিষ্ট ৩ লাখ টাকা পরবর্তী ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।’