ভৈরবে কেন্দ্র অনেকটা ফাঁকা, প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৫.৩৬ শতাংশ

ভৈরব উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের সারি দেখা যায়নি। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভৈরব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেছবি: সুমন মোল্লা

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের সারি দেখা যায়নি। দু–একজন করে ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে কেন্দ্র ছাড়েন। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার অন্তত ১৩টি ভোটকেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

তবে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেলেও প্রথম চার ঘণ্টায় ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। ভোটারদের সারি না থাকায় লোকজন অল্প সময়ে ভোট দিতে পারছেন।

আরও পড়ুন

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকায় অবস্থিত আবদুল আজিজ পৌর মাতৃসদন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভোটারদের কোনো সারি নেই। কেন্দ্রটির মোট ভোটার ৩ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট দেন ১৩৩ জন। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে তা ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শামিম সিকদার বলেন, প্রথম থেকেই দু–একজন করে ভোটার আসছেন। তবে ভোটারের সারি হয়নি।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রটির ভেতরকার পরিবেশ ছিল নীরব। প্রতিটি বুথে ভোট গ্রহণ–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনেকটা চাপহীনভাবে সময় পার করছিলেন। কেন্দ্রটিতে প্রথম দুই ঘণ্টায় ৮ শতাংশ ভোট পড়ে।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভৈরবপুর সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে চারজন ভোটারের দেখা পাওয়া যায়। বেলা একটার দিকে মানিকদী সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্র ছিল প্রায় ফাঁকা। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ২ হাজার ৬৭৪ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭৯১টি ভোট পড়ে।

ভবানীপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা পৌনে দুইটায় দিকে গিয়ে দেখা যায়, একজন ভোটার ভোট দিচ্ছেন। কেন্দ্রটি ফাঁকা হলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, দুপুর ১২টার মধ্যে ২৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ভোট পড়ে গেছে।

১৩টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রের ভেতরে নীরবতা থাকলেও বাইরের পরিবেশ ছিল সরব। কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের পোস্টারে আচ্ছাদিত। সামান্য দূরত্বে প্রার্থীর সমর্থকেরা টেবিল পেতে বসে ভোটারদের নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলায় পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগের পদধারী ও একজন যুবদল নেতা।