ছুরিকাঘাতে আহত বগুড়া মেডিকেল কলেজছাত্রের মৃত্যু

মেহেরাজ হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

খাবারে ময়লা পাওয়ার ঘটনায় তর্কের জের ধরে ঝালমুড়ি বিক্রেতার ছেলের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিলেন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ওরফে ফাহিম (২৬)।

আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মেহেরাজ হোসেনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

কলেজ প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনে খাবারে ময়লা থাকা নিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ ব্যাপারী (৫১) ও তাঁর ছেলে শাকিল ব্যাপারীর (২৬) সঙ্গে তর্ক হয় মেহেরাজের। একপর্যায়ে শাকিল ব্যাপারী মেহেরাজকে ছুরিকাহত করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৮ নভেম্বর তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মেহেরাজ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুখিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ গাজীর ছেলে। তবে বর্তমানে পরিবারের সবাই রাজধানীর পশ্চিম কাফরুল এলাকায় বসবাস করেন।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেরাজের মৃত্যু হয়। মেহেরাজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বর্ষে ওঠার পর সেখান থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে বদলি হয়ে আসেন।

অভিযুক্ত শাকিল ব্যাপারী ও তাঁর বাবা ফরিদ ব্যাপারীর বাসা বগুড়া শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়া এলাকায়। বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) সাইহান ওলিউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, মেহেরাজ ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনায় সহপাঠীরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ ছাড়া তাঁর বাবা নূর মোহাম্মদ গাজী রাতেই ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ ব্যাপারী ও তাঁর ছেলে শাকিল ব্যাপারীকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এরপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বগুড়া সদর থানার পুলিশ বগুড়া শহর ও সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট এলাকায় যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।