টঙ্গীতে জাহাঙ্গীরের মায়ের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা
গাজীপুরের টঙ্গীতে সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন জায়েদা খাতুনের গাড়িচালক সায়ের মাহমুদ। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন রবিউল ইসলাম ওরফে পাইলট (৪৩) ও খান সুমন (৩০)। তাঁরা দুজনই টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের টেবিলঘড়ি প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম একাধিক নেতা-কর্মীসহ টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন লোক অতর্কিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, রড ও ইট নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে প্রার্থীর ব্যবহৃত গাড়ির চারপাশের কাচ ভেঙে যায়। মারধরে সুলতান, আশরাফুলসহ কয়েকজন বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁদের রক্ষা করেন। আহত ব্যক্তিরা শহীদ আহসান উল্লা মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামি রবিউল ইসলাম ও খান সুমন হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম আজ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িচালক বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আজ বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৮ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। পরে জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা বাতিল হলেও জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে মাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।