‘তোর মেয়েকে না নিলে মেরে ফেলব’ হুমকির কিছুক্ষণ পর মৃত্যুসংবাদ পেলেন বাবা

লাশ
প্রতীকী ছবি

মুঠোফোনে জামাতার কাছ থেকে ‘তোর মেয়েকে না নিলে মেরে ফেলব’ হুমকি পাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছেন এক বাবা। নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে গতকাল বুধবার মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে।

এই মেয়ের নাম তানজিনা আক্তার (২০)। তিনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সন্ধ্যাইল গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের মেয়ে।

খবর পেয়ে বুধবার রাত আটটার দিকে সেনবাগ থানার পুলিশ তানজিনার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তানজিনার স্বামী মহিন উদ্দিন পলাতক ছিলেন। তানজিনার পরিবারের অভিযোগ, মহিন উদ্দিন মারধর করে তানজিনাকে হত্যা করেছেন।  

পুলিশ জানায়, তানজিনা আক্তারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তানজিনার মামাতো ভাই আবদুল আজিম বলেন, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তানজিনা ও মহিন উদ্দিনের বিয়ে হয়। কিছু দিন পর থেকে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তানজিনাকে নির্যাতন করতেন।

আরও পড়ুন

আবদুল আজিম অভিযোগ করেন, বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মহিন উদ্দিন তাঁর শ্বশুর তাজুল ইসলামকে কল করে বলেন, ‘তুই কি তোর মেয়েকে নিবি? তোর মেয়েকে না নিলে মেরে ফেলব।’ এই কথোপকথনের কলরের্কড তাঁদের কাছে আছে। পুলিশকেও এটা শোনানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তানজিনার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর বাবাকে কল করে জানানো হয় যে তানজিনাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সেখানে তানজিনা নেই। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে তানজিনার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনেরা। মারধর করে তানজিনার স্বামী তাঁকে মেরে ফেলে নাটক সাজিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মারধর করে গৃহবধূকে মেরে ফেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে তাঁরা তথ্য পেয়েছেন। এ বিষয়ে গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে।