বরিশালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতক সুস্থ আছে, তবে এখনো চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতক সুস্থ আছে। তবে আজ রোববারও তাদের প্রসূতি মায়ের কাছে দেওয়া হয়নি। চার নবজাতককে হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহিন রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, চার নবজাতককে এখনো চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চার নবজাতকই বাহ্যিকভাবে সুস্থ। তবে চারজনই কম ওজন নিয়ে জন্মেছে।
গত শুক্রবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গৃহবধূ মুক্তা আক্তার (২৪) একসঙ্গে তিন পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। মুক্তা ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাহরাইনপ্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।
রোববার দুপুরে প্রসূতি মুক্তা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি। আমার চার সন্তানও সুস্থ আছে। তবে আমার কাছে ওদের দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, আরও কয়েক দিন তাঁরা পর্যবেক্ষণে রাখবেন।’
পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে মুক্তা আক্তারের প্রসবব্যথা শুরু হলে তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর স্বাভাবিক প্রসব না হওয়ায় ওই দিন বেলা দুইটার দিকে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হয়। চার নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।
মুক্তা আক্তারের সঙ্গে হাসপাতালে আছেন তাঁর মা মায়া বেগম। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে তাঁর মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয় সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। সিদ্দিকুর বাইরাইনপ্রবাসী। জামাতা ফোন করে বাচ্চা এবং স্ত্রীর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন।