রংপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পারিবারিক বৈঠকে যুবলীগ কর্মী রেজাউল করিমকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তরুণের নাম মেহেদী হাসান (২২)। তিনি নিহত রেজাউলের মামাতো ভাই। এ দিকে আজ দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রেজাউল করিমের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে বিকেলে পারিবারিক কবর স্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের লাহিড়ীরহাট এলাকায় পারিবারিক বৈঠকে রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রংপুর সদর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ নিহত রেজাউলের বড় ভাই এছাহাক মিয়া বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা নিহত রেজাউলের চাচাতো ও মামাতো ভাই। মামাতো ভাই মেহেদী হাসানকে ঘটনার দিন রাতেই আটক করা হয়। পরে মামলা হলে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে করাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান্ত সরকার বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে গতকাল বিকেলে লাহিড়ীরহাটে আলোচনায় বসেন রেজাউলসহ তাঁর চাচাতো ভাই রাব্বী মিয়াসহ অন্যরা। এ সময় রেজাউলের সঙ্গে রাব্বীর বাবার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাব্বী ধারালো রামদা দিয়ে সজোরে রেজাউলের মাথায় কোপ দেন। পরিবারের লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেজাউলকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ময়নাতদন্ত শেষে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রংপুর জেলা যুবলীগের কোনো কমিটি না থাকায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান শাহীন বলেন, রেজাউল যুবলীগের একজন পরীক্ষিত ও নিবেদিত কর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে তাঁরা নিবেদিত কর্মী হারালেন। এ ঘটনায় তাঁরা জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।