সাজেকের দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়া, হেলিকপ্টারে পাঠানো হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী

সাজেক
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম তুইচুই মৌজার লংতিয়ানপাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছেন দুজন স্বাস্থ্য সহকারী। বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই দুজন স্বাস্থ্য সহকারী আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি হেলিপ্যাড থেকে সেখানে যাবেন।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত লংতিয়ানপাড়ায় ২৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী হরিণজয় ত্রিপুরা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, লংতিয়ানপাড়ায় আসার পর তিনি ২৮ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাঁরা ঠিকমতো কথা বলতে পারতেন না। তবে তাঁদের স্যালাইন, পেটের ব্যথার ওষুধ দেওয়ার পর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ওষুধ ফুরিয়ে আসছে। দ্রুত ওষুধ না পেলে চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যা দেখা দেবে। সবাই পেটের ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।

এক সপ্তাহ আগে থেকে দুর্গম লংতিয়ানপাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সিংহ ত্রিপুরা ও গবালা ত্রিপুরা নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দুর্গম লংতিয়ানপাড়ায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হরিণজয় ত্রিপুরা নামে একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আরও দুজন স্বাস্থ্য সহকারীকে পর্যাপ্ত ওষুধসহ হেলিকপ্টারের করে পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন

লংতিয়ানপাড়ার প্রধান (কার্বারি) মিথুনজয় ত্রিপুরা বলেন, তাঁদের গ্রামে পানির তীব্র সংকট চলছিল। প্রচণ্ড গরম ও বৃষ্টি না হওয়ায় ছড়ার পানি শুকিয়ে যায়। পানি না পেয়ে গ্রামের মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অরবিন্দ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, লংতিয়ানপাড়াটি খুবই দুর্গম। হেঁটে যেতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। খবর পেয়ে কাছাকাছি থাকা একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে পাঠানো হয়েছে। তারপরও সেখানে পৌঁছাতে তাঁর প্রায় একদিন সময় লেগেছে। আরও দুজন স্বাস্থ্য সহকারীকে হেলিকপ্টারে করে পর্যাপ্ত ওষুধসহ আজ পাঠানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।