মেডিকেলে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা পলাশের পাশে জেলা প্রশাসক

চুয়াডাঙ্গার কৃতী শিক্ষার্থী পলাশ হোসেনের হাতে অর্থ সহায়তা তুলে দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

অর্থাভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা কৃতী শিক্ষার্থী পলাশ হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে কার্যালয়ে ডেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি ফি ও বই কেনার জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন সব সময়ই এ ধরনের মেধাবীদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

পলাশের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নে। তিনি ওই ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান ও মোছা. রেক্সোনা খাতুনের ছেলে। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

ভর্তি ফি ও পড়াশোনার জন্য ১৫ হাজার টাকা পেয়ে খুশি পলাশ। তিনি জেলা প্রশাসকের পাশাপাশি প্রথম আলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। গতকাল বুধবার প্রথম আলো অনলাইনে কৃতী শিক্ষার্থী পলাশ হোসেনকে নিয়ে ‘সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে থমকে আছে পলাশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন

১২ মার্চ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এরপর মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফি, ঢাকায় যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়াসহ প্রয়োজনীয় খরচ কীভাবে চলবে, সেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন পলাশ। বিষয়টি পলাশ প্রথমে জীবননগর উপজেলার উথলী মহাবিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের প্রভাষক মো. ওবাইদুল হককে জানান। পরে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর একাধিক ব্যক্তি পলাশের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর খোঁজখবর নেন।

ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তির পথ সুগম হওয়ায় পলাশের বাবা হাবিবুর রহমান ও মা রেক্সোনা খাতুন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। মুঠোফোনে তাঁরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।