বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক।

আজ সোমবার দুপুরের দিকে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেন।

গ্রেপ্তার ওই চালকের নাম মো. মোশারফ হোসেন (২৩)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার নাটেরকোনা গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন

মোশারফকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, সবার সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকা থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদেই ওই চালক অপরাধ স্বীকার করেছেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পেরেছেন জানিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিএনজির চালককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমাকে জানান। পরবর্তী সময়ে আমি ও ঘটনাস্থলে আমার সঙ্গে থাকা বান্ধবীরা থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করি। পরে ওই অপরাধী নিজেই তাঁর অপরাধ স্বীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই ঘটনায় মামলা করেন। অতিদ্রুত আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

গত শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) আবাসিক এলাকা–সংলগ্ন সড়কে পশুপালন অনুষদের এক ছাত্রীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে পরদিন বিক্ষোভ করেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। পরে উপাচার্য আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তালা খুলে দেওয়া হয়।

রোববার মিছিল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের গালাগাল করে স্লোগান দিয়েছেন, অভিযোগ এনে প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানানো হয়। তবে আজ উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে স্ব স্ব পদে আবার কাজ শুরু করেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে গতকাল থেকেই তাঁরা কাজ করেছেন। ফলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিকারী ওই চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ সঠিক বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির একটি সমস্যা হয়েছিল। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।