তরুণী ও তাঁর বাবাকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতাকে স্বপদে বহাল

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লোগো

পটুয়াখালীতে এক তরুণী ও তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে পেটানোর অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি তারিকুল ইসলামকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তারিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। একই ঘটনায় তারিকুলের চাচাতো ভাই স্থানীয় ছাত্রদল নেতা সায়মুন ইসলামকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস বাজারে এক কলেজছাত্রী ও তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে (৭০) পিটিয়ে আহত করেন ছাত্রদল নেতা তারিকুল ও তাঁর চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতা সায়মুন। হামলায় আহত ব্যক্তিদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ছাত্রদল নেতা সায়মুন ইসলাম তাঁর ওপর জোরজবরদস্তি করছিল। তখন স্থানীয় লোকজনের কাছে বিচার চাইলেও কোনো প্রতিকার পাননি। এরপর ঘটনার দিন ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাঁর বাবার স্লুইস বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করছিলেন তিনি। সায়মুন তাঁকে উদ্দেশ করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। তিনি প্রতিবাদ জানালে সায়মুন লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এ দৃশ্য দেখে তাঁর বৃদ্ধ বাবা প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। ওই মারধরে সায়মুনের সঙ্গে যোগ দেন চরমন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তরুণীর সঙ্গে তারিকুল ইসলামের চাচির ঝগড়া হয়। যেখানে তারিকুল জড়িত ছিল না। এটা আমাদের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’