চিলমারী বন্দর ছেড়েছে দীর্ঘ যাত্রার প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’

বিশ্বের দীর্ঘ যাত্রার প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’
ছবি: প্রথম আলো

বিশ্বের দীর্ঘ যাত্রার প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’ যাত্রাবিরতি শেষে চিলমারী নদীবন্দর ছেড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় চিলমারী নদীবন্দর থেকে ভারতের ধুবড়ি বন্দরের উদ্দেশে প্রমোদতরিটি ছেড়ে যায়। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চিলমারী নদীবন্দরে ‘গঙ্গা বিলাস’ নোঙর করেছিল। পরে প্রমোদতরির পর্যটকেরা রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন।

পর্যটকদের দল নেতা ও গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরির মালিক রাজ সিংহ বলেন, গতকাল তাঁরা রংপুর বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখেছেন। সেখানে কালের সাক্ষী হয়ে থাকা শতবর্ষী কারমাইকেল কলেজ, তাজহাট জমিদার বাড়ি, বেগম রোকেয়ার বাড়ি ও বিভিন্ন ধর্মীয় মন্দির ঘুরে দেখেছেন। ব্রহ্মপুত্র নদ ও বাংলাদেশের সৌন্দর্য তাঁদের মুগ্ধ করেছে।

আরও পড়ুন

সিরাজগঞ্জ থেকে চিলমারী নদীবন্দর পর্যন্ত প্রমোদতরিতে এ ভ্রমণে সঙ্গী হয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিউটিএ) উপপরিচালক মো. মাহফুজ উল আলম। তিনি বলেন, গঙ্গা বিলাস নদীপথে ভারতের বারানসি থেকে আসামের ধুবড়ি বন্দরে যাবে। এ প্রমোদতরির যাত্রা নির্বিঘ্নে রাখতে সার্বক্ষণিক পাশে ছিল বিআইডবিউটিএ। আজ সকালে চিলমারী বন্দর থেকে যাত্রা করা গঙ্গা বিলাস দইখাওয়ার চর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সকাল সাড়ে ১০টায় পৌঁছায়। সেখানে ইমিগ্রেশন–সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষে করে ভারতের প্রবেশ করবে। এ পথেই গঙ্গা বিলাস আগামী ১৭ মার্চ আবার কলকাতা যাবে। ধুবড়ি বন্দর পর্যন্ত তিনি এ ভ্রমণে সঙ্গী থাকবেন।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’–এর পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। গতকাল সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরে
ছবি: প্রথম আলো

চিলমারী নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারানসি থেকে ১৩ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করেছে প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’। যাত্রাপথে ‘গঙ্গা বিলাস’ নদীপথে মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। সময় লাগবে মোট ৫১ দিন। প্রমোদতরিতে ৩টি ডেকসহ ২৮টি বিলাসবহুল কামরা আছে। ৬২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের এ প্রমোদতরিতে সুইজারল্যান্ডের ২৭ জন ও জার্মানির একজন পর্যটক ভ্রমণ করছেন।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাসের মাধ্যমে চিলমারী নদী বন্দর দিয়ে পর্যটকদের যে যাত্রা শুরু হলো, আশা করছেন ভবিষ্যতে এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে। কুড়িগ্রাম ও রংপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য ভাগ্য উন্নয়নে এ নৌপথ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

আরও পড়ুন