হত্যা মামলায় আইভীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন নামঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে রিকশাচালক তুহিন হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঈনউদ্দিন কাদির।
এর আগে জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে সাঈদ ওরফে চাঁদ মিয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় আইভীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। ভার্চ্যুয়ালি কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেন আইভী।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইভীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে সাঈদ হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
আইভীর পক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘উচ্চ আদালতে জামিন শুনানির তারিখ ধার্য থাকলেও নিম্ন আদালতে আইভীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমরা তাঁর রিমান্ডের বিরোধিতা করেছি। হত্যাচেষ্টা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইভীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসনাত, গোলাম দস্তগীর গাজী, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলার এজাহারে আইভীর ১১ নম্বর আসামি।
অন্যদিকে গত বছরের ১৯ জুলাই সদর উপজেলার দেলপাড়া এলাকায় এসবি গার্মেন্টসের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তাঁর শ্যালক তানভীর আহমেদের নির্দেশে সাঈদ ওরফে চাঁদ মিয়ার ডান পায়ে গুলি করার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সাবেক সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়।
৯ মে সকাল পৌনে ছয়টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের বাড়ি থেকে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। গত বছরের ২০ জুলাই পোশাককর্মী মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ মোট ছয়টি মামলা আছে।