গাইবান্ধার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল কাদের খান মারা গেছেন

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী কাদের খান বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান।

কাদের খানের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি খানপাড়া গ্রামে। তিনি চিকিৎসা পেশার কারণে পরিবারসহ বগুড়ায় বসবাস করছিলেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাপরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী। মৃত্যুকালে কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে সন্তান রেখে যান। তাঁরা দুজনই চিকিৎসক। আজ রাতে বগুড়ায় কাদের খানের দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান সম্প্রতি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে ‘ব্রেন স্ট্রোক’ করলে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তী সময়ে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ১৫ জানুয়ারি তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিনি মারা যান।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হন। এই ঘটনায় লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি দেখানো হয়। পরবর্তী সময়ে এই মামলায় একই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানকে বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্ত্র আইন মামলায় আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।