মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দেখে তাসনিমের অনুভূতি, ‘তৃতীয় হব, কখনো ভাবিনি’
‘ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হব। সেভাবেই লেখাপড়া করেছি। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই মনে হয়েছিল, আমি ভর্তির সুযোগ পাব। সুযোগও পেয়েছি। ডাক্তার হয়ে গরিব ও অসহায় মানুষকে স্বাস্থ্যগত সহায়তা করতে চাই।’
কথাগুলো বলছিলেন শেখ তাসনিম ফেরদাউস। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছেন যশোরের শেখ তাসনিম ফেরদাউস। গতকাল রোববার বিকেলে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে শেখ তাসনিম ফেরদাউস ৮৯ দশমিক ৫০ পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
শেখ তাসনিম ফেরদাউসদের বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামে। তাঁর বাবা গোলাম রসুল শেখ অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। মা রোকেয়া খাতুন গৃহিণী। শেখ তাসনিম ফেরদাউস দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। বড় ভাই জাকারিয়া সাদ নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
শেখ তাসনিম ফেরদাউস অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শেখ আবদুল ওহাব মডেল কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেন। দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে তাসনিম তাঁর ফল জানতে পারেন। ফলাফল জানার পর বাড়িতে আনন্দের জোয়ার বইতে থাকে। অনেক মানুষ তাঁদের বাড়িতে আসেন। ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন অনেকে।
শেখ তাসনিম ফেরদাউসদের বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামে। তিনি নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শেখ আবদুল ওহাব মডেল কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেন। দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে শেখ তাসনিম ফেরদাউসদের বাড়িতে বসে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তাসনিম বলেন, ‘পরীক্ষা দিয়েই ধরে নিয়েছিলাম আমি ৮৯ পাব। কিন্তু তার চেয়ে একটু বেশিই পেয়েছি। তবে তৃতীয় হব, কখনো ভাবিনি। ফলাফল পাওয়ার পর প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। ফলাফলে আমি ভীষণ খুশি।’
তাসনিম আরও বলেন, ‘কোনো সময় অপচয় না করে পড়াশোনা করেছি। একাডেমিক বইয়ের বাইরে বই পড়তে আমি পছন্দ করি। তবে আত্মোন্নমূলক ও অনুপ্রেরণামূলক বই আমার খুব প্রিয়।’
তাসনিমের বাবা গোলাম রসুল শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবে। সেভাবে সে লেখাপড়া করেছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। আমি চাই, আমার ছেলে ডাক্তারি পড়া পড়ে মানুষের মতো মানুষ হোক। গরিব-দুঃখী মানুষের কল্যাণ করুক।’
মা রোকেয়া খাতুন বলেন,‘গতকাল বিকেলে ছেলের মুখে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল শুনেছি। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। পরে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম। আমার ছেলে তৃতীয় হয়েছে—এতে আমি খুব খুশি। আমার প্রত্যাশা, ছেলে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করুক।’