ভোটের দিন দুই ঘণ্টা পরপর ভোট গ্রহণের হার প্রচার করা হবে: সিইসি

ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার দুপুরে নগরের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনেছবি: প্রথম আলো

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন দুই ঘণ্টা পরপর সারা দেশের ভোট গ্রহণের হার প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটের দিন দুই ঘণ্টা পরপর সারা দেশের ভোট গ্রহণের হার প্রচার করা হবে। তাতে যদি দেখা যায়, কোথাও বেলা ২টায় ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশ আর ৩টায় ভোট পড়েছে ৯০ শতাংশ, তাহলে এটা বিশ্বাসযোগ্য হবে না।’

আরও পড়ুন

ময়মনসিংহ নগরের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিইসি। বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ আবিদ হোসেনসহ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এর আগে আজ সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ময়মনসিংহের ১১টি আসনের প্রার্থীদের নিয়ে পৃথক মতবিনিময় সভা করেন সিইসি। দুটি সভার কোনোটিতেই সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকালের সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বললেও দুপুরের সভা শেষে কথা বলেন।

আরও পড়ুন

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সকালে প্রার্থীদের সভায় ময়মনসিংহে নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রার্থীরা খোলামেলা কথা বলেছেন। তবে কোথাও কোথাও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পেয়েছি। কোনো কোনো প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, ভোটাররা যেখানেই ভোট দেন না কেন, সব ভোট একজনের পক্ষেই চলে যাবে। কিন্তু এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না। কোনো কেন্দ্রে যদি একটি কারচুপির ঘটনাও ঘটে, তাহলে আমরা ভোট বন্ধ করে দেব।’

সিইসি আরও বলেন, ‘ভোট এখানে দিলে ওখানে চলে যাবে, এসব অবান্তর প্রচারণায় বিশ্বাস করবেন না। স্বচ্ছতার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে। কেন্দ্রে কোনো ধরনের কারচুপি হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে একটি কেন্দ্রে ১০ বার ভোট গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন

পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে ওসি (থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ও ইউএনওদের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ঢালাওভাবে বদলি করেছি। এখনো অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বদলি করা হচ্ছে। ওসি বা ইউএনওরা ভোটকেন্দ্রে কিছু করতে পারবেন না। ভোটকেন্দ্রে ভোটের দিন খেলাটা হবে প্রার্থীদের মধ্যে। ওই দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা যদি কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারেন, তাহলে ওসি-ইউএনওরা কিছু করতে পারবেন না।’

ভোটের দিন গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটের দিন আপনারা সঠিক খবর প্রচার করবেন। তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবেন। আমি সার্টিফিকেট দিলেই ভোট সুষ্ঠু হবে না।’

আরও পড়ুন