শাশুড়িকে মারধরের পর ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জামাতা গ্রেপ্তার

মো. ফয়সাল
ছবি : সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার কাগুজিরপুল এলাকায় শাশুড়িকে হাত-পা বেঁধে মারধর করার পর আগুন দিয়ে দুটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. ফয়সাল (২৮)। তাঁর বাবার নাম মো. জয়নাল আবেদিন। তিনি কাগুজিরপুল এলাকার বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাগুজিরপুল এলাকার রফিক হাওলাদারের মেয়ে আঁখি বেগমের (২২) সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ফয়সালের বিয়ে হয়। সম্পর্কে তাঁরা (আঁখি ও ফয়সাল) চাচাতো ভাই–বোন। তাঁদের সংসারে দেড় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ফয়সালের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের কিছুদিন পর ফয়সাল মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং মাদক সেবন করেন। এ নিয়ে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই ফয়সালের কথা-কাটাকাটি হতো। এ নিয়ে ফয়সাল তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফয়সালের সঙ্গে তাঁর শাশুড়ি নাসিমা বেগমের কথা-কাটাকাটি হয়। শাশুড়ি নাসিমাকে বেদম মারধর করেন ফয়সাল। খবর পেয়ে শ্বশুর রফিক হাওলাদার আসার আগেই পালিয়ে যান ফয়সাল।

পরে ফয়সালের মা মোছা. চান বানুর সঙ্গে রফিকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চান বানুকে মারধর করেন রফিক। পরে রফিক আহত স্ত্রী নাসিমাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান এবং চান বানুকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁর স্বজনেরা। এ ঘটনায় বেলা তিনটার দিকে ফয়সাল এসে শ্বশুর রফিকের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভান। ততক্ষণে রফিকের ঘর ও পাশে বাক্প্রতিবন্ধী মো. শাহ আলমের একটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে রফিক হাওলাদার বাদী হয়ে ফয়সালসহ চার ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা করেন। ওই দিন রাত নয়টার দিকে স্থানীয় লোকজন ফয়সালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোণিত কুমার গায়েন বলেন, ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে ‘পটুয়াখালীর বাউফল, মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় শাশুড়িকে বেঁধে মারধর, ঘরে আগুন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন