সমাবেশে যাওয়ার পথে আটক নেতা-কর্মীদের ১৬ ঘণ্টা পর মুক্তি, কারাগারে ৭

মাগুরা জেলার মানচিত্র

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে মাগুরায় আটক বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মীকে ১৬ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শালিখা থানার পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁদের আটক করা হয়েছিল। সত্যতা না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সদর থানায় আটক বিএনপির সাত নেতা-কর্মীকে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

পুলিশ ও বিএনপির নেতারা জানান, কারাগারে পাঠানো ওই সাতজন হলেন জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আরাফাত হোসেন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সদস্য সোহেল রানা, সদর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন হোসেন, বিএনপির নেতা লুৎফর রহমান, জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান ও চাউলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের নেতা কবির হোসেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। ২৭ আগস্ট মাগুরায় বিএনপির সমাবেশ চলার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মাগুরার আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ মোল্লার করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

অবশ্য বিএনপির নেতাদের দাবি, ওই দিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করে উল্টো তাঁদের নামেই মিথ্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ওই ৭ জন ছাড়াও ২৪ জন বিএনপির নেতা-কর্মী কারাগারে আছেন।

গতকাল রাতে ও আজ শনিবার ভোরে খুলনায় সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপির অন্তত ৩০ নেতা-কর্মীকে আটক করে শালিখা থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে কুষ্টিয়ার খোকসা এলাকার ২৩ জন ছিলেন। আজ বিকেলে চারটার দিকে তাঁদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যে অভিযোগ ও সন্দেহে তাঁদের আটক করা হয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদে সেটার সত্যতা না পাওয়ায় সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শালিখায় আটক ব্যক্তিদের একজন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গ‘তকাল দিবাগত রাত একটার দিকে খুলনায় যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাস ও সিএনজিতে থাকা তাঁদের ১৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। আমরা ছাড়াও কুষ্টিয়ার ২৩ ও গাজীপুরের ২ জনকেও আটক করা হয়।’ পুলিশ জানায়, খুলনায় সমাবেশে যাওয়ার কারণে তাঁদের আটক করা হয়েছে।