রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবনধসের ঘটনায় উদ্ধারকাজ চলছে, সন্ধ্যায় সভা

নির্মাণাধীন ভবনের একাংশ ধসে পড়ার পর উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
ছবি: শহীদুল ইসলাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের একটি অংশ আজ মঙ্গলবার ধসে পড়ার ঘটনায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। নিচে কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, তা দেখতেই এই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এ কাজে যুক্ত আছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আজ সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রকৌশল দপ্তর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর, ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

বিকেল চারটার দিকেও ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছিল। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর শোনার পরই তাঁরা সেখানে উপস্থিত হন। উদ্ধারকাজ শেষ হতে আরও কিছু কাজ করতে সময় লাগবে। সাটারিংসহ ঢালাই পড়ে গেছে। এগুলো সরাতে সময় লাগছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসংশ্লিষ্ট লোকজন। সহ–উপাচার্য মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। তবে তাঁর জানামতে সেখানে কেউ চাপা পড়েননি। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। পরে একটি তদন্ত কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। জানতে হবে, নির্মাণাধীন ভবন কেন ধসে পড়ল।

আরও পড়ুন

দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ১০ তলা ভবনের কাজ শেষের দিকে। এই হলের সামনে দুই পাশে শেড হচ্ছে। এর পূর্বপাশের একতলা শেডের সাটারিংসহ ঢালাই ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সাতজনের আহত হওয়ার কথা জানানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আহত ব্যক্তিদের তিনজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তিন শ্রমিক হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আজাদুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনুপনগর এলাকার সিফাত ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার সিহাব। এ ছাড়া সুরেজ ও রাসেল নামে দুই শ্রমিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা ১১ জন নির্মাণাধীন ভবনটিতে কাজ করছিলেন।