পরিবার জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী ছাত্র আসিফ। তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে এইচএসসি—সব পাবলিক পরীক্ষায় তিনি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এখন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতেন চান আসিফ।
আজ সোমবার দুপুরে আসিফের বাবা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আসিফের মা আফরোজা বেগমের ইচ্ছা ছিল, ছেলে চিকিৎসক হবেন। মায়ের স্বপ্নই পূরণ হতে যাচ্ছে। আসিফের ছোট চাচা ওয়াহিদুর রহমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের নিউরো বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আসিফ ভালো ছাত্র। তাই আমি তাঁকে লেখাপড়ায় কোনো চাপ দিইনি। আমি চাই ছেলে চিকিৎসক হোক বা অন্য কোনো পেশায় থাকুক, সে যেন একজন সংবেদনশীল ভালো মানুষ হয়। আর চিকিৎসা পেশায় থাকলে যেন একজন সৎ ও মানবিক চিকিৎসক হয়।’
আসিফ রহমানের মা আফরোজা বেগম বলেন, ‘চিকিৎসক হতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়, তাই সব সময় ছেলের পাশে থেকে তাঁকে লেখাপড়া করতে উদ্বুদ্ধ করেছি। আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন। মনে হচ্ছে আমার স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। ছেলের সাফল্যে আমি দারুণ খুশি।’
আসিফ রহমান জানান, কলেজে ভর্তির পর থেকেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হতে পেরে তাঁর খুবই ভালো লাগছে। তিনি বলেন, ‘ছোট চাচাকে দেখে চিকিৎসা পেশার প্রতি আমারও বেশ আগ্রহ। আমার মাও সব সময় চাইতেন আমি যেন মেডিকেলে পড়ি। তাই নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই আমার মনে হয়েছে আমাকে ভালো কিছু করতে হবে। নিউরো বিষয়গুলো ভালো লাগে আমার তাই ভবিষ্যতে নিউরোসার্জন হতে চাই।’
নিজের সফলতার বিষয়ে আসিফ বলেন, ‘একটি কথা আছে, পরিশ্রম করলে অবশ্যই ভালো ফল পাওয়া যায়। আমার ক্ষেত্রে এই কথাই প্রযোজ্য। এ ছাড়া আমার ওপর সৃষ্টিকর্তার রহমত ছিল। সে জন্য এমন ফলাফল করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, জীবন অনেক লম্বা। তবে চেষ্টা করে যেতে হবে। পরিশ্রম ও নিজের প্রতি সৎ হতে হবে।