নেত্রকোনায় ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকাবাসী। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে।ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনায় ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ (২৯) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা লাইট কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে নিহত খায়রুল ইসলামের বাবা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমার নিরপরাধ ছেলেকে প্রকাশ্যে আবদুস সালামের ছেলে নাজমুল হক ও তাঁর ভাইয়েরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় হামলাকারীরা আমার বোন, ভগ্নিপতি, তাঁদের ছেলেসহ তিনজনকে আহত করে। ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না, কিন্তু আমি এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দেখে যেতে চাই।’

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, চল্লিশা লাইট গ্রামের আবদুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিবেশী আবদুস সালামের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত শনিবার সালামের লোকজন সাত্তারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। এতে সাত্তারের স্ত্রী রোকিয়া আক্তার আহত হন। ওই রাতে রোকিয়ার ভাইয়ের ছেলে খায়রুল ইসলাম তাঁর আহত ফুফুকে (রোকিয়া) দেখতে চল্লিশা লাইট গ্রামে আসেন। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে আবার বিবাদে জড়ায় দুই পক্ষ। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সালামের ছেলে নাজমুল হক সেখান থেকে উঠে গিয়ে লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ সাত্তার ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে সাত্তার ও তাঁর স্ত্রী, ছেলে আজাহার, শ্যালকের ছেলে খায়রুল ইসলামসহ পাঁচজন আহত হন।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিলে খায়রুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত অন্যরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নেত্রকোনা মডেল থানায় নিহত খায়রুলের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় নাজমুল হক, তাঁর ভাই রুমন মিয়া, সুমন মিয়া, কামরুল ইসলাম ও প্রতিবেশী জুয়েল মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়াকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ইতিমধ্যে এ মামলার দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।