ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রধান আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ৩

কুষ্টিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর করা হয়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেনছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুনের ওপর হামলা ও অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে আবু আহাদ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেছেন।

মামলায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষকে (জগৎ) প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর পলাতক আছেন।

আটক তিনজন হলেন চরমিলপাড়া এলাকার রেজাউল করিম (৩৫), শহীদ (৩৩) ও গিরিশ শাহিম (৩২)। তাঁরা সবাই কাউন্সিলর কিশোরের সমর্থক।  

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বাদী মামলা করেছেন। কিশোর কুমার ঘোষকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কিশোর কুমার ঘোষের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদের নির্বাচনী অফিসে ঢুকে তাঁকে মারধর ও অপহরণের চেষ্টা করে। আহত অবস্থায় তাঁকে রাতেই কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন

আগামীকাল বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে আবু আহাদ মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান (আতা)। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। আতাউর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই।   

প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুন বলেন, ‘থানায় মামলা করেছি। আমি শারীরিকভাবে প্রচণ্ড অসুস্থ। হামলাকারীরা আমার মাথা, বুক ও পিঠে আঘাত করেছেন।’  

বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, যাঁরা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাঁরা দলের বা তাঁর কোনো কর্মী–সমর্থক নন।