রেস্তোরাঁ ব্যবস্থাপককে গুলি করে হত্যা: ছেলেসহ শপিং কমপ্লেক্স মালিক রিমান্ডে

গুলির ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আঙ্গুরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মানুষ ভিড় জমায়। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায়
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জে রেস্তোরাঁ ব্যবস্থাপক শফিফুর রহমান ওরফে কাজলকে (৫৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে পুলিশ আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই আসামি হলেন—শহরের চাষাঢ়ার আঙ্গুরা শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আজহার তালুকদার ও তাঁর ছেলে আরিফ তালুকদার।

আরও পড়ুন

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে কেন গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে, মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, শহরের চাষাঢ়ায় আঙ্গুরা শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলা ও দোতলা একাংশ কমপ্লেক্সের মালিক আজহার তালুকদারের কাছ থেকে ভাড়া দেন শুক্কুর আলী। সেখানে ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ নামের একটি রেস্তোরাঁ দিয়েছেন তিনি। কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ বিল ও পানির লাইন নিয়ে শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আজহারের সঙ্গে রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী ও ব্যবস্থাপক শফিফুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত রোববার রাতে শফিফুর রহমানের সঙ্গে আজহারের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আজহার উত্তেজিত হয়ে শপিং কমপ্লেক্সের বাসা থেকে পিস্তল ও শটগান নিয়ে এসে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে শফিফুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাতে শফিফুর রহমানের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপককে গুলি করার ঘটনায় শপিং কমপ্লেক্সের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী। গত রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় তিনি মামলাটি করেন। দুই আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মামলার বাদী শুক্কুর আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা দুইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। হাসপাতাল থেকে লাশ ঘটনাস্থল রেস্তোরাঁর সামনে আনা হবে। সেখান থেকে বন্দরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি হত্যার ঘটনায় মালিক ও তাঁর ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।