গাজীপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় আসামি ৪ হাজার, গ্রেপ্তার ১১

বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাকশ্রমিকেরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী এলাকায়
ছবি: সাজিদ হোসেন

গাজীপুরের কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চলে একটি কারখানার বাইরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণার দ্বিতীয় দিন গতকাল গাজীপুরে তিনটি এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের হামলা-ভাঙচুরে দিনভর উত্তপ্ত ছিল এসব এলাকা। এ সময়ে শ্রমিকেরা তুসুকা নামের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। কারখানার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১৫ শ্রমিক। ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ ২৭ জনকে আটক করা হয়। তবে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কোথাও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বলেন, গতকাল বিকেলে কোনাবাড়ী এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তুসুকা কারখানার ভেতর শ্রমিকেরা ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই কারখানার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনারের (ডিসি) গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সবাই বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক।

এসআই আবু সাঈদ বলেন, গ্রেপ্তার ১১ জনকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।