পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান ওরফে চুন্নু মিয়ার বসতবাড়ি দখল, পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা, লুটপাট ও অস্ত্রের মুখে বসতবাড়ি লিখে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মো. খলিলুর রহমান।
মামলায় সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, তাঁর ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শহিদুল আলম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান (সুজন মোল্লা)। এ ছাড়া আসামি হিসেবে অজ্ঞাতপরিচয়ের ১৫-২০ জনের কথা উল্লেখ আছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার নাসির উদ্দিন ও আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম আকন্দ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিস রায় মামলাটি আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সব আসামি অস্ত্রের মুখে খলিলুরের বসতবাড়ি দখল করে পরিবারের সদস্যদের হত্যাচেষ্টা, আঘাত-আক্রমণ করাসহ লুটপাট চালায়। এর নেতৃত্ব ও নির্দেশদাতা ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান ও তাঁর ছোট ভাই মো. হাবিবুর রহমান। ওই সময় বাদীর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যবহৃত সাত লাখ টাকা মূল্যের সাত ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেন আসামিরা।
বিবরণে আরও বলা হয়, এ ঘটনার পর একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা বাদীকে (খলিলুর) অপহরণ করে মাহবুবুর রহমানের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে অস্ত্রের মুখে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টিপসই ও স্বাক্ষর নিয়ে তাঁর সাড়ে ৪ শতাংশ জমি লিখে নেন। জমি না লিখে দিলে পেট্রল দিয়ে তাঁকে সপরিবার হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা বাদীর বসতঘরের পাশাপাশি ১৪ লাখ টাকা মূল্যের আসবাব দখল করে নেন।
এ বিষয়ে আদালতের আদেশের কপি পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ।