ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী অনশন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সংগঠন ‘ফ্রেন্ডস অব প্যালেস্টাইন’। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ প্রতীকী অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সাঈদুর রহমান চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মনিমুল হক, তৌফিকুল ইসলাম, শাহরিয়ার মাহির, মো. মোকাররম হোসাইন প্রমুখ।
এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, ফিলিস্তিনের গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ, জরুরি খাদ্য, চিকিৎসাসহায়তা প্রদানসহ সারা বিশ্বের মানবতাবাদী বিবেককে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানান।
শুরু থেকেই অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে সেখানে খাবারের সংকট এবং মানবিক বিপর্যয় চলছে। নেই চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষেরা চরম কষ্টে ভুগছে। ইসরায়েলি বাহিনী বাইরে থেকে কোনো প্রকার সহায়তা করতে দিচ্ছে না। সভ্যসমাজে এ রকম পরিস্থিতি, আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমাদের বেশি কিছু করার নেই। ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতি ঘৃণা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতেই আমাদের এই কর্মসূচি।’ তিনি চান সেখানে অবিলম্বে ‘গণহত্যা’ ও ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হোক।
অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ বলেন, ‘ইসরায়েলের জায়নবাদী অত্যাচারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের মানবতাবাদী বিবেক এক। তবু গণহত্যা থামছে না। সারা বছর তাদের আক্রমণ চলতে থাকে এবং পবিত্র রমজান এলে আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ইহুদিদের দখলদারি ও গণহত্যার প্রতিবাদে আজকে আমাদের এ কর্মসূচি। তাদের নির্মম গণহত্যার জন্য আমাদের এ ছোট প্রতিবাদ কিছু না। তারপরও আমরা জানান দিতে চাই, আমরা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে আছি।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মনিমুল হক বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ওপর যে আক্রমণ চলছে, সেটি গণহত্যা। জায়নিজম একটা উগ্র জাতীয়তাবাদ। জায়নিজমের নামে ফিলিস্তিনে অনেক নিরীহ শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। হাসপাতালে বোমা মারছে। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা অনশন কর্মসূচি পালন করছি।’