গোপালগঞ্জে ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক যুবক মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

ওই যুবকের নাম ইয়াসিন শেখ (৩৫)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে। ইয়াসিন পেশায় ট্রলিচালক। নিহত ইয়াসিনের ভাবি আমেনা বেগম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

আরও পড়ুন

এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর রাতেই গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক গণেশ বিশ্বাস বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অপর দিকে ইভিএম ছিনতাইয়ের ঘটনায় হওয়া মামলাতেও অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই চারজন হলেন সাবু মোল্লা, পলু মোল্লা, মতিয়ার রহমান ফকির ও ইব্রাহিম কাজী। নির্বাচনী ফলাফলে সদস্য প্রার্থী সাবু মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

পরে নির্বাচনী মালামাল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফেরার সময় পরাজিত অপর তিন প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে তাঁদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ শটগানের গুলি চালায়। এতে সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে ইয়াসিন শেখসহ অন্তত তিনজন আহত হন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইয়াসিন শেখ ও কালাম শেখকে প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে রাতেই তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।