বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলনের পর এবার শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইনেছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কম্বাইন্ড (সমন্বিত) ডিগ্রির আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে আজ সোমবার বিকেল চারটা থেকে আড়াই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে ছয় দফা দাবির পক্ষে স্লোগান দেন। এ সময় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মুঠোফোনে কথা হয়। এ বিষয়ে আন্দোলনরত পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক জানান, ওসি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসবেন কি না, তা জানতে চান।

শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে বলেন, গতকালের হামলার পর প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আলোচনায় বসতে হলে আগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করতে তাঁরা রাজি আছেন। পাশাপাশি শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে নিজেদের অবস্থান সবার সামনে প্রকাশ করতে হবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।

অবরোধ চলার সময় গতকালের আন্দোলন ও হামলার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাষ্য প্রকাশ করে। তবে আন্দোলনকারীরা এর তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ভাষ্যে আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসন দেখা করেছে এবং দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি।

অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ছয় দফা দাবির পক্ষে স্লোগান দেন
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ভাষ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আত্মীয়স্বজন তাঁদের (শিক্ষকদের) মুক্ত করতে এসেছিলেন, যাঁদের বহিরাগত হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে সেই স্বজনদের তাঁদের (শিক্ষার্থীদের) সামনে হাজির করা হোক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের মদদে বহিরাগতদের দিয়েই তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা দাবি করেন, আলোচনায় বসতে হলে হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে অন্য শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন