অতঃপর বৃদ্ধ মাকে নিজেদের কাছে নিয়ে গেলেন সন্তানেরা

অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলেও খোঁজ নেননি ছেলেরা। মরিয়ম বেগমের চোখের পানিতে নানা অভিযোগ
ছবি: প্রথম আলো

অতঃপত ঢাকার ধামরাইয়ের সেই বৃদ্ধ মাকে নিজেদের কাছে নিয়ে গেলেন সন্তানেরা। আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বৃদ্ধ মা মরিয়ম বেগমের (৯৫) দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর তিন ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়েনের নরসিংহপুর গ্রামে সাবেক সাংসদ এম এ মালেকের বাড়িতে মা মরিয়মকে নিতে আসেন তিন ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর হোসেন ও মো. হুমায়ুন কবির। তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত ভুলের কথা উল্লেখ করে মায়ের যত্নে আরও সচেতন ও আন্তরিক হওয়ার আশ্বাস দিয়ে মাকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চান।

এ সময় এম এ মালেকের স্ত্রী মীনা মালেক স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে মরিয়ম বেগমকে ছেলেদের কাছে দিয়ে দেন। পরে তাঁকে ছেলে মো. আলমগীর হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আলমগীর হোসেনের বাড়িতে এত দিন মরিয়ম বেগম ছিলেন। মরিয়ম বেগম সম্পর্কে সাবেক সাংসদ এম এ মালেকের ফুফু।

মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মা গত কয়েক দিন আমাদের আত্মীয়ের বাসায়ই ছিলেন। তাই আমরাও বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলাম। ভাইদের ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে অমিল থাকায় মায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় লেগেছে। আমরা সব ভাই বসে মায়ের থাকা এবং যত্নের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করে নেব।’

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী প্রথম আলোকে বলেন, অবশেষে তাঁরা (ছেলেরা) ভুল বুঝতে পেরে বৃদ্ধ মাকে তাঁদের কাছে নিয়ে গেছেন। তিনি আশা করেন, এখন ছেলেরা মাকে প্রকৃত সম্মান দেবেন এবং পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে আরও সচেতন হবেন।

১৫ অক্টোবর একাই ছোট ছেলের কাছে যেতে গিয়ে স্থানীয় বঙ্গবাজার এলাকার রাস্তার পাশে পড়ে যান মরিয়ম বেগম। প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় আবদুল লতিফের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মরিয়ম বেগমকে তাঁর ভাইয়ের ছেলে সাবেক সাংসদ এম এ মালেকের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ৯ দিন ছিলেন তিনি। এই সময়ে মরিয়েমের ছয় ছেলের কেউই মায়ের খোঁজ নেননি। এ নিয়ে আজ সোমবার সকালে প্রথম আলো অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন