অস্ত্র মামলায় বরকত-রুবেলের বিচার শুরু

অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলকে রোববার সকালে আদালতে হাজির করা হয়
প্রথম আলো

ফরিদপুরের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া দুটি অস্ত্র মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দুই ভাইসহ তিন আসামিকে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। দুপুরে অভিযোগ গঠন হওয়ার পর তাঁদের আবার জেলহাজতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) দুলাল সরকার বলেন, অস্ত্র আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য রোববার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়ার আদালতে তাঁদের হাজির করা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলার আসামি হচ্ছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। অপর একটি অস্ত্র মামলায় আসামি হচ্ছেন ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও তাঁর সহযোগী রেজাউল করিম বিপুল।

বরকত ও রুবেল

পিপি দুলাল সরকার আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা দোষী, না নির্দোষ। জবাবে তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। আদালত মামলার সাক্ষ্য শুনানির জন্য বরকত-রুবেলের মামলার পরবর্তী তারিখ ২৭ অক্টোবর এবং রুবেল-রেজাউলের মামলার পরবর্তী তারিখ ২ নভেম্বর ধার্য করেন।

মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, দুটি অস্ত্র মামলায় বরকত, তাঁর ভাই রুবেল ও সহযোগী রেজাউলের অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। তাঁরা এই দুটি মামলা থেকে তিন আসামিকে অব্যাহতি দানের জন্য আবেদন জানালে আদালত তা খারিজ করে দেন।

গত ১৬ মে রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবল সাহা বাদী হয়ে গত ১৮ মে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এর ২০ দিন পর গত ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা হতে বরকত, রুবেল, রেজাউলসহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় বরকত, রুবেল ও রেজাউলের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলিসহ বিদেশি মুদ্রা, নগদ টাকা, মাদকদ্রব্য, বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করা হয়। পরদিন ৮ জুন কোতোয়ালি থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেন ও এসআই আবদুল জব্বার বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ দুটি মামলার তদন্ত শেষে গত ২৭ জুন ও ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অস্ত্র আইনে দুটি মামলা ছাড়া মানি লন্ডারিংসহ বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন