আন্দোলন স্থগিত জাবি শিক্ষার্থীদের, তবে হল ছাড়বেন না

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক
ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে আবাসিক হলে অবস্থান করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দুই দফা চেষ্টা করেও তাঁদের হলছাড়া করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও হল প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আন্দোলন আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করার কথা জানানো হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হলেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নোশিন আদিবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েক দিনের আন্দোলনে আমাদের দাবি ছিল, শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার বিচার ও নিরাপত্তার জন্য হলে থাকতে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করেছে, মামলার প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে বলে প্রশাসন আমাদের কাছে সময় চেয়েছে, সে জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।’ তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই হল ছাড়বেন না বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা চলে যান। তবে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে যেসব শিক্ষার্থী থাকতেন, তাঁদের অনেকেই সেসব বাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে আবাসিক হলের তালা ভেঙে সেখানে অবস্থান করতে শুরু করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের আটটিতেই ছাত্ররা থাকছেন। শনিবার ছাত্রীদের আটটি হলের তালা ভাঙা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন সেগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়। গতকাল সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ২০-২৫ জন আবাসিক ছাত্রী হলটির তালা ভেঙে আবারও সেখানে ওঠেন। বিকেলে প্রক্টরিয়াল টিম ও হলের প্রাধ্যক্ষ সেখানে গিয়ে ছাত্রীদের হল ছেড়ে যেতে অনুরোধ করলেও তাঁরা ছাড়েননি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার অনুরোধ করছি। তারা হল ছাড়েনি। এ অবস্থায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে নিয়ে সভা চলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। সভা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

আরও পড়ুন