আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দলীয় কোন্দলের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ। আজ শনিবার কিশোরগঞ্জ শহরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
বেলা ১১টার দিকে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘১৩ সেপ্টেম্বর পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের উদ্ভূত পরিস্থিতি’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে আতাউল্লাহ সিদ্দিক বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। ১৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে পাকুন্দিয়া কলেজ গেটের কাছাকাছি আসলে হঠাৎ আমার ব্যক্তিগত গাড়িটির দিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে, যা যেকোনোভাবেই জীবননাশের কারণ হতে পারত। তখন স্বভাবতই আত্মরক্ষার জন্য লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসি।’
আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ দাবি করেন, পাকুন্দিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক বিরাজমান সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচকভাবে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছবি উপস্থাপন করা হয়েছে। তাঁর মর্যাদাহানির জন্য তাঁর ডাক নামের সঙ্গে ‘টাওয়ার’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা কথাটি যোগ করে তাঁকে ও জেলা শ্রমিক লীগের রাজনৈতিক অবস্থানকে হেয়প্রতিপন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি এসব সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
১৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কোন্দলের জের ধরে পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হন। উপজেলার অপসারণ করা চেয়ারম্যানের সমর্থক ও স্থানীয় সাংসদের অনুসারী শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্ত্রের মহড়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদের প্রকাশ্যে শটগান মহড়ার আলোকচিত্রও ছিল।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্ত্রের মহড়া’ওই ঘটনায় থানায় দুটি মামলা ও আদালতে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার কিশোরগঞ্জ আদালতে আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদসহ ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ তদন্ত করে ২০ অক্টোবরের আগে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।