আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ৩

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি চালানো ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে
সংগৃহীত

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দুটি নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি চালানো ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ কর্মী বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। এতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। ‍পুলিশ শুক্রবার দুপুরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে এ মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতেই এ মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি শিগগিরই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলা এলাকার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী মুরাদ মালিথা ও সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় অপর আওয়ামী লীগ কর্মী আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। ২টি মামলাতেই পৃথক ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুটি অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি আসামিদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।

গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলা ও সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ফাঁকা ছিল। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে কার্যালয় দুটি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে সাতটি গুলির খোসা উদ্ধার করে।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনে উপনির্বাচনে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

আরও পড়ুন