ইভিএমে ধীরগতি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে ভোটাররা

ইভিএমে ধীরগতির কারণে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়েন নারী ভোটাররা। বুধবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউপির তেতুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

নবম ধাপে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ও শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

সকাল থেকেই প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ইভিএমের ধীরগতির কারণে ভোটারদের অনেকেই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

ভোটারদের অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। বুথে গিয়ে ভোট দিতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগছে।

উল্লাপাড়ার বড়হর ইউপির তেঁতুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন আফসার আলী সেখ (৭২)। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। বুথে গিয়ে ভোট দিতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লেগেছে।’

একই কথা বলেন বড়হর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আসমা বেগম। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিলেন তিনি। ভোট দিতে তাঁকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তাঁর ধারণা ছিল, ইভিএমে ভোট দেওয়া খুবই সহজ, বাস্তবে তেমনটি ছিল না। ইভিএম সম্পর্কে ধারণা থাকার পরও ভোট দিতে ১০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছে তাঁর।

আরও পড়ুন

প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়া স্নাতকের শিক্ষার্থী হেলেনা খাতুন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ভোট দিলাম। খুবই ভালো লাগছে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট দিতে খুব কষ্ট হয়েছে। ইভিএমে অনেক ধীরগতি।’

তেঁতুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান বলেন, ইভিএম যন্ত্রে কিছুটা সমস্যা ছিল। তাই ভোট গ্রহণে কিছুটা দেরি হয়েছে। বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৪১৮ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৩৩৪ ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুরের সোনাতনী ইউপিতে ভোটার ১৮ হাজার ৪৫১ জন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩টি। উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউপির ভোটার ৩০ হাজার ৮৩১ জন, ভোটকেন্দ্র ১২টি। কামারখন্দের জামতৈল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৬৯২, ভোটকেন্দ্র একটি। সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুটি ইউনিয়নের ২৫টি কেন্দ্রে সম্পূর্ণ ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলছে। শুধু কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোয় ৩৮৭ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া দুটি ইউনিয়নে দুই প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের দুটি ভ্রাম্যমাণ দলসহ চারজন নির্বাহী ও দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।