ঈশ্বরদীতে ‘ঘাড়ধাক্কা’ খাওয়ার পর বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

ঈশ্বরদী পৌরসভার পূর্ব টেংরি এলাকায় শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির প্রাথী রফিকুল ইসলাম
সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে ‘ঘাড়ধাক্কা’ খাওয়ার পর ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভার পূর্ব টেংরি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তিনি এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়া ও ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈশ্বরদীতে প্রহসনের ভোট হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দখলে। এভাবে নির্বাচনে থাকা যায় না। এই নির্বচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করছি।’

এর আগে রফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক এসে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে তাঁকে শার্টের কলার ধরে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এতে তিনি হাতে আঘাত পান। হামলাকারীরা তাঁকে হুমকিও দেন, তিনি যেন ভেতরে আর না আসেন।

এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েস জানান, সকাল থেকেই বিএনপি–মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ করা হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে সেসব স্থানে স্ট্রাইকার ফোর্স, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে এখনো নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়নি। ভোট সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে।

আরও পড়ুন