কলেজশিক্ষক হত্যা মামলায় প্রধান আসামির জবানবন্দি, দুজন রিমান্ডে

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম তালুকদার।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম তালুকদার।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় কলেজশিক্ষক আমিনুল ইসলাম তালুকদার ওরফে নিক্সন (৪৮) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি সুমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। একই মামলার অপর দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই তিনজনকে সোমবার ধনবাড়ী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চান মিয়া জানান, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মামলার প্রধান আসামি সুমন হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। মঙ্গলবার তাঁকে এবং একই মামলায় গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি সুজন ও ফারুককে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুমনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাসুম। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সুজন ও ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হলে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নিহত আমিনুল ইসলাম তালুকদার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত শুক্রবার বিকেলে ধনবাড়ী থেকে আজগড়া গ্রামের বাড়িতে যান আমিনুল। সন্ধ্যায় আজগড়া মোড়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ধনবাড়ী ফিরছিলেন তিনি। এ সময় আজগড়া খালের সেতুর কাছে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমিনুল ইসলাম তালুকদারের ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন তালুকদার বাদী হয়ে সোমবার রাতে ধনবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই তিনজনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।