কুমিল্লায় ট্রেন–অটোরিকশার সংঘর্ষ, মা–বাবার পর এবার চলে গেল মেয়ে

কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা রেলক্রসিংয়ে গত বুধবার ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা
প্রথম আলো

কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা রেলক্রসিং এলাকায় গত ৩০ ডিসেম্বর মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ফরিদ মুন্সী ও তাঁর স্ত্রী পেয়ারা বেগম মারা যান। ওই দুর্ঘটনায় আহত তাঁদের মেয়ে আঁখি আক্তার (১৬) গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে–ও মারা গেছে।

এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে বাবা, মা ও মেয়ে মারা গেল। দুর্ঘটনায় আহত চতুর্থজন ওই দিনের অটোরিকশার চালক ফরিদ মুন্সীর ভাগনে রাকিবুল ইসলাম (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আঁখি দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। আঁখির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার চাচা আবু তাহের মুন্সী সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসকেরা আঁখির বাঁচার আশা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপরও চেষ্টা চলেছে। তার মরদেহ বাড়িতে আনা হচ্ছে। রাতেই তার মা–বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর সকালে দেবীদ্বারের গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ মুন্সী তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে অটোরিকশা নিয়ে কুমিল্লা শহরে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি নগরের শাসনগাছা রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং এলাকা অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি মালবাহী ট্রেন সেখানে চলে আসে। এ সময় ট্রেনটির ধাক্কায় অটোরিকশাটি অন্তত ২০০ গজ উত্তর দিকে ছিটকে পড়ে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ওই অটোরিকশার ভেতর থেকে ফরিদ মুন্সী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ফরিদ মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পথে মারা যান পেয়ারা বেগম। অপর দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। আজ মারা গেল ফরিদ মুন্সী-পেয়ারা বেগম দম্পতির মেয়ে আঁখি।

আরও পড়ুন