কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় কাদের মির্জার অনুসারী গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হানিফ সবুজের (৫০) ওপর হামলার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার এক অনুসারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম মো. খলিল (৩০)। তিনি চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে। খলিলের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের ওপর হামলার মামলা ছাড়াও এর আগে একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। খলিল কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার ১১ নম্বর আসামি মো. খলিল। গ্রেপ্তার খলিলকে আজ দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৬ জুন দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউপির চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ ওরফে খোকনের (৪৫) ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। হানিফ সবুজের অভিযোগ, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ফখরুল ইসলাম ওরফে সবুজসহ একদল সন্ত্রাসী তাঁর ওপর এ হামলা চালিয়েছেন। হামলায় হানিফ সবুজের ডান পা ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
আহত হানিফ সবুজ অভিযোগ করেছেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ফখরুল ইসলাম ও মো. রহিম ওরফে রকিসহ ২৫-৩০ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার ঘটনায় গত ৭ জুন চেয়ারম্যানের বাবা আনিসল হক বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাদের মির্জার অনুসারী ফখরুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হানিফ সবুজের কাছে পরাজিত হন। আর বিজয়ী হানিফ সবুজ কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী। নির্বাচনের পর থেকে ফখরুল ইসলামের সঙ্গে হানিফ সবুজের বিরোধ চলে আসছে।