কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ৩

দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫৯ জনকে। উভয় মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫৯ জনকে। আজ শনিবার সকালে ওই দুটি মামলা করা হয়। উভয় মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ছাড়া বসুরহাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আ জ ম পাশা চৌধুরী রুমেলের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বাসমালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন

গতকাল শুক্রবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আ জ ম পাশা চৌধুরীর ওপর হামলা চালান। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে ভাইস চেয়ারম্যানের ভাতিজা কামরান পাশা ওরফে মঞ্জিল (২৪) আহত হন। পরে আবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা প্রতিপক্ষের আক্রাম উদ্দিন ওরফে সবুজ পরিচালিত ড্রিম লাইন পরিবহনের পাঁচটি বাস ভাঙচুর করেন।

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার পর শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উভয় মামলায় কাদের মির্জার তিন অনুসারীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ জাবেদ ও মাসুদুর রহমান। তাঁদের আজ শনিবার দায়ের হওয়া দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।