খুলনায় গ্রাম পুলিশ হত্যার ১৭ বছর পর রায়ে দুজনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

খুলনায় গ্রাম পুলিশ আবদুল জলিল হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শহিদুল গোলদার ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের আনোয়ারুল শেখ। দুজনই পলাতক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী আমিনুর রহমান খান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি অস্ত্রের একটি চালান যাবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাইকগাছা উপজেলার কাটিপাড়া বাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। একটি মোটরসাইকেলে তিনজন ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের দাঁড় করিয়ে দেহ তল্লাশি করতে যায়। এমন সময় শহিদুল ইসলাম কোমর থেকে পিস্তল বের করে পুলিশের গলায় ঠেকিয়ে ধরে। গ্রাম পুলিশ আবদুল জলিল ওই ঘটনা দেখে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। গুলি জলিলের মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পুলিশের অন্য একজন সদস্য এগিয়ে গেলে তাঁর রাইফেল কেড়ে নিয়ে অন্য দুই সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল চালক আনোয়ারুল শেখ ও রাশেদ পালিয়ে যান।

ওই ঘটনায় পাইকগাছা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু দাউদ শিকদার বাদী হয়ে শহিদুল গোলদার, রাশেদ গোলদার ও আনোয়ারকে আসামি করে পাইকগাছা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তিন দফায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।