জগন্নাথপুরে কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন চাচা

জগন্নাথপুরে মাদ্রাসাছাত্রী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চাচা রবিউল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাদ্রাসাছাত্রী সানজিদাকে (১৬) শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন তাঁর চাচা রবিউল ইসলাম (৪০)। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র‍্যাব-৯ সুনামগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়। রবিউলকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে সিলেট শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিউলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও গ্রামের সয়ফুল ইসলামরা চার ভাই। এর মধ্যে দ্বিতীয় ভাই লুৎফুর রহমান যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় বড় ভাই সয়ফুল ইসলামের মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা বেগমকে নিজের মেয়ের মতো স্নেহমমতা করে তাদের সংসারের ভরণপোষণের টাকা তার কাছে পাঠাতেন।

আরও পড়ুন

বিষয়টি সহ্য করতে পারতেন না ছোট ভাই রবিউল ইসলাম। কিছুদিন আগে এসব বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও তিন মাসের মেয়েসন্তানকে নিয়ে রবিউল শ্বশুরবাড়ি চলে যান। গত মঙ্গলবার তিনি একা বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ভাতিজি সানজিদার শয়নকক্ষের পাশে ঘুমান। রাত চারটার দিকে সানজিদার কক্ষে ঢুকে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুখে একটি বালিশ রেখে পালিয়ে যান।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানান, ভাইয়ের মেয়ে সানজিদাকে হত্যা না করলে তাঁর নিজের মেয়ে লন্ডনপ্রবাসী ভাইয়ের স্নেহমমতা থেকে বঞ্চিত হবে, এই চিন্তা থেকে তাকে হত্যা করেন তিনি।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল আরও জানান, লন্ডনপ্রবাসী ভাই লুৎফুর রহমান তাঁর ভাইয়ের মেয়ে সানজিদাকে খুব স্নেহমমতা করতেন। তাকে হত্যা না করলে তাঁর নিজের মেয়ে লন্ডনপ্রবাসী ভাইয়ের স্নেহমমতা থেকে বঞ্চিত হবে, এই চিন্তা থেকে তাকে হত্যা করেন তিনি।

আরও পড়ুন

যদিও লাশ উদ্ধারের পর ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করেছিল পুলিশ ও পরিবার। জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত মুসলেহ উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী কিশোরীকে হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই আম্মাদ আহমেদ (২৫) বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার চাচা রবিউল ইসলাম ও চাচি সুহি আক্তারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।