জীবিত স্কুলশিক্ষককে মৃত দেখানোর ঘটনায় ইসির তদন্ত কমিটি

লক্ষ্মীকান্ত রায়
সংগৃহীত

লালমনিরহাট সদর উপজেলার স্কুলশিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত রায়কে ‘মৃত’ দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব পালন করবেন সদর উপজেলা নির্বাচন ও রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনায় আজ রোববার ওই কমিটি গঠন করা হয়। লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনজুরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আজ রোববার ‘জীবিত’ স্কুলশিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত রায়কে ‘মৃত’ দেখানোর ঘটনা নিয়ে প্রথম আলোতে ‘ভারতে যা সিনেমা, তা লালমনিরহাটে বাস্তব’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন। পরে সে প্রতিবেদন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হবে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া লক্ষ্মীকান্ত রায়কেও যত দ্রুত সম্ভব এনআইডির আওতায় আনা হবে।

লালমনিরহাট জেলা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দুজনই ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষে তাঁদের কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ রোববার তাঁরা কর্মস্থলে যোগ দেন।

ভুক্তভোগী লক্ষ্মীকান্ত রায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়া টেপা গ্রামের বাসিন্দা। আদিতমারীর বালাপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। টিকা নিবন্ধনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ‘অকার্যকর’ দেখালে তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ৩ জুন তিনি মারা গেছেন। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের তালিকা থেকে তাঁর নামও বাদ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে অনেকেই তাঁকে সাহস দিচ্ছেন। তিনি এখন আশা করছেন দ্রুতই সরকারি কাগজে তাঁকে ‘জীবিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে।

আরও পড়ুন