দীঘিনালা-লংগদু সড়কে ৮ দিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ

বেইলি সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। শনিবার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালী-চৌমুহনী এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সঙ্গে আট দিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। দীঘিনালার বোয়ালখালী-চৌমুহনী এলাকায় বোয়ালখালী খালের বেইলি সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে স্থানীয় লোকজন খালের ওপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হওয়া সুজন দেবনাথ, অঞ্জনা বালা, মিনু রানী ও সুজন চন্দ্র দেবনাথ প্রথম আলোকে জানান, বেইলি সেতু ভেঙে যাওয়ার দিন থেকে তাঁরা স্থানীয় লোকজনের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। তবে ভারী মালপত্র নিয়ে আসতে হলে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে।

ভেঙে যাওয়া সেতু এলাকায় নতুন করে একটি বেইলি সেতু স্থাপনের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। নতুন সেতু স্থাপন করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে আরও সাত থেকে আট দিন সময় লাগবে বলে সওজের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সওজের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর সকালে মেরুং থেকে আসা দুটি কাঠবোঝাই ট্রাক ও একটি যাত্রীবোঝাই মাহিন্দ্রসহ বোয়ালখালী খালের বেইলি সেতুটি ভেঙে পড়লে লংগদুর সঙ্গে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আজ শনিবার সকালে বোয়ালখালী-চৌমুহনী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুটি সম্পূর্ণ খুলে ফেলা হয়েছে। সেখানে নতুন বেইলি সেতু স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। ভেঙে পড়া সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে লোকজন খাল পার হচ্ছেন।

খাগড়াছড়ি জেলা বাস মালিক সমিতির দীঘিনালার দায়িত্বপ্রাপ্ত লাইন নিয়ন্ত্রক নাসির উদ্দিন বলেন, বেইলি সেতু ভেঙে যাওয়ায় লংগদু সড়কে চলাচল করা ঢাকা ও চট্টগ্রামের যাত্রীরা এপারে নেমে সাঁকো দিয়ে পার হয়ে ওপারে গিয়ে আবার গাড়িতে উঠছেন।

ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুটি সম্পূর্ণ খুলে সেখানে নতুন আরেকটি বেইলি সেতু স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, সেতুটি স্থাপন করতে আরও সাত থেকে আট দিন সময় লাগবে।

আরও পড়ুন